মোটরসাইকেল
চালাতে প্রায় সবারই ভালো লাগে। কিন্তু সব সময়ই কি? বৃষ্টির মধ্যে চালাতে
ভালো লাগার কথা নয়। আর দুর্ঘটনাও কারও কাম্য নয়। বৃষ্টি বা দুর্ঘটনার কথা
চিন্তা করলে চার চাকার যানই ভালো। বৃষ্টিতেও সমস্যা নেই, দুর্ঘটনার আশঙ্কাও
কম। তবে ঝামেলাও আছে। যানজট তো আছেই, আর পার্কিংয়ের স্থান খুঁজে পাওয়াও
মুশকিল। কিন্তু মোটরসাইকেল চালানোর আনন্দ কি চার চাকার গাড়ি চালিয়ে পাওয়া
যায়!
এবার চার চাকার গাড়ির মতো সুবিধা নিয়ে তৈরি হলো মোটরসাইকেল। দুই চাকার এই
যানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘সি-ওয়ান’। এটি তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মোটরযান
নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান ‘লিট মোটর’। ট্রন চলচ্চিত্রটির কথা হয়তো অনেকেরই জানা। সেখানে ভার্চুয়াল জগতে চলে যান
নায়ক স্যাম ফ্লিক। মেতে ওঠেন ভার্চুয়াল মোটরসাইকেল নিয়ে কিছু অতিমানবীয়
প্রতিযোগিতায় (রেস)। এবার স্যামের মোটরসাইকেলের মতো যান বাস্তবে ধরা
দিল—সি-ওয়ান। নিরাপদ, খরচ কম, গতি ভালো, পার্কিংয়ের ঝামেলামুক্ত এমন সব সুবিধা দিচ্ছে
সি-ওয়ান মোটরসাইকেল। পুরো মোটরযানটি লোহার খোলসে মোড়া। এটি নিয়ন্ত্রণ করা
যায় গাড়ির মতো স্টিয়ারিং হুইল ও ফুট প্যাডেলের মাধ্যমে। দুই চাকার যান হওয়া সত্ত্বেও এটি কাত হবে না। এর নিচে সংযুক্ত দুটি বড়
গাইরোসকোপের (গতিশীল যানের যন্ত্র) কারণে এটি কাত হবে না। পাশ থেকে কোনো
গাড়ি ধাক্কা দিলেও তা কাত হবে না। শুধু দেখতে নয়, ব্যাটারিচালিত মোটরযানটি গতিতেও পিছিয়ে নেই। ঘণ্টায় সি-ওয়ান
সর্বোচ্চ ১২০ মাইল যেতে পারে, আর পূর্ণ চার্জে এটি ২০০ মাইল চলতে পারে। ৩৩ বছর বয়সী ড্যানিয়েল কিম লিট মোটরসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)।
আট বছর আগে তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় পড়েন। বেঁচে যান কোনো রকমে। সেই থেকেই ভিন্ন
ধরনের কোনো কিছু তৈরির ভাবনা। তিনি বলেন, চার চাকার গাড়ি কেন অর্ধেক হবে
না? আর এমন আকৃতিতেই আবার মোটরসাইকেল ও চার চাকার গাড়ির সুবিধা কেন নয়? সে
সব বিবেচনা থেকেই সি-ওয়ান। ড্যানিয়েল কিম জানান, তাঁরা ২০১৪ সালের মধ্যে ১০ হাজার সি-ওয়ান মোটরযান
উৎপাদন করবেন। তখন দাম পড়বে ২৪ হাজার মার্কিন ডলার। তবে ২০১৬ সালের মধ্যে
এর দাম ১৪ হাজার মার্কিন ডলারে নেমে আসবে বলে তিনি আশ্বাস দেন। সি-ওয়ান চার চাকার গাড়ির তুলনায় অনেক হালকা। তাই খুব বেশি ক্ষমতার ব্যাটারি প্রয়োজন হবে না। ইতিমধ্যে কোম্পানিটি ২৫০টি মোটরসাইকেল তৈরির অর্ডার পেয়েছে। নিউইয়র্ক টাইমস।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন