মঙ্গলবার, ৯ অক্টোবর, ২০১২

ফেসবুকে আসছে ‘ওয়ান্ট’

অবশেষে গুজব সত্যি প্রমাণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ওয়ান্ট’ বাটন চালুর কথা জানিয়ে দিল ফেসবুক। ইংরেজি ‘ওয়ান্ট’ শব্দটির বাংলা ‘চাওয়া’। ফেসবুকে কোনো কিছু পছন্দ হলে এত দিন যেমন ‘লাইক’ করা যেত, এবারে তেমনি কোনো পণ্যের বিষয়ে আগ্রহ থাকলে তা ওয়ান্ট করার সুবিধা যুক্ত করতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
চলতি বছরের জুন মাসে ফেসবুক ডেভেলপার টম ওয়াডিংটন ফেসবুকের কোড ঘেঁটে তথ্য বের করেছিলেন যে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুক ওয়ান্ট নামের নতুন একটি বাটন যুক্ত করতে পারে। প্রযুক্তিবিষয়ক বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও ব্লগে ওয়ান্ট নামের এই ফেসবুক বাটনটি চালু হওয়া নিয়ে গুজব ছড়ালেও ফেসবুকের পক্ষ থেকে ওই সময় আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি। ৮ অক্টোবর সাতটি রিটেইলার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করে ওয়ান্ট, কালেক্ট বাটনগুলো পরীক্ষামূলক চালু করার তথ্য জানিয়েছে ফেসবুক। এ প্রসঙ্গে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ফেসবুকে ফটো অ্যালবামের মাধ্যমে পণ্যের তথ্য শেয়ার করা হয়। এখন থেকে ছোট পরিসরে ‘কালেকশনস’ নামের একটি ফিচারের মাধ্যমে পণ্যের তথ্য শেয়ার করার সুবিধা যুক্ত করছে ফেসবুক। ফেসবুক ব্যবহারকারীরা তাঁদের নিউজ ফিডে কালেকশনস দেখতে এবং তা বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে পারবেন। কালেকশনস থেকে ওয়ান্ট বাটনের মাধ্যমে পণ্যের প্রতি তাঁদের আগ্রহ দেখাতে বা ফেসবুক থেকে আগ্রহী পণ্যটি কিনতেও পারবেন। তবে ফেসবুক থেকে অনলাইন রিটেইলারদের পণ্য কিনলেও ফেসবুক কোনো চার্জ নেবে না। এদিকে প্রযুক্তিবিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, ফেসবুকের মাধ্যমে অনলাইনে কেনাকাটার সুবিধা চালু করে ই-কমার্সের ক্ষেত্রে আরও একধাপ এগিয়ে গেল ফেসবুক। এর আগে ফেসবুক ‘গিফটস’ নামের একটি সেবা থেকে উপহার কেনার একটি সুবিধা চালু করার কথা জানিয়েছে ফেসবুক। প্রযুক্তিবিশ্লেষকেরা বলছেন, ওয়ান্ট বাটনটি বিজ্ঞাপনের মতোই ফেসবুকের ব্যবসা বাড়াতে সাহায্য করবে এবং বিভিন্ন পণ্যের ভোক্তা বাড়াবে। বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপন নিয়ে ফেসবুকে ঘাঁটি গাড়তে চাইবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। কে, কী ওয়ান্ট করছে বা চাইছেন, এ বাটনটির ব্যবহার তা বলে দেবে। এ সুযোগ বাগিয়ে নিতেই ওয়ান্ট বাটনটি চালু করছে ফেসবুক।’

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন