
নাসা’র মার্স রোভার কিউরিওসিটি বুধবার মঙ্গল গ্রহে প্রথমবারের মতো ‘টেস্ট
ড্রাইভ’ সম্পন্ন করেছে৷ অবতরণস্থলের পাশে কিউরিওসিটির চাকার দাগ দেখা
গেছে৷ দু'সপ্তাহ
আগে অবতরণের পর এবার মঙ্গল গ্রহে সফলভাবে চলতে শুরু করেছে কিউরিওসিটি৷
ক্যালিফোর্নিয়ায় নাসা কর্মকর্তা ম্যাট হেভারলি জানিয়েছেন, ‘‘কিউরিওসিটি আজ
(বুধবার) মঙ্গলে সফলভাবে চলতে সক্ষম হয়েছে৷
আমাদের এই রোভারে সম্পূর্ণ সচল মোবিলিটি সিস্টেম রয়েছে৷''২.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের এই যানটি গত ৬ আগস্ট মঙ্গলের মাটি স্পর্শ করে৷ বুধবার এটি অবতরণস্থল থেকে প্রায় ৬ মিটার সামনের দিকে এগিয়ে যায়৷ তার আগে অবশ্য কিউরিওসিটি ৯০ ডিগ্রি এঙ্গেলে ঘোরে এবং সামনের দিকে এগোনোর আগে কিছুটা পেছনের দিকে যায়৷ এক বিবৃতিতে নাসা জানিয়েছে, ‘‘অবতরণস্থল থেকে ২০ ফুট দূরে পৌঁছেছে যানটি৷''
আমাদের এই রোভারে সম্পূর্ণ সচল মোবিলিটি সিস্টেম রয়েছে৷''২.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের এই যানটি গত ৬ আগস্ট মঙ্গলের মাটি স্পর্শ করে৷ বুধবার এটি অবতরণস্থল থেকে প্রায় ৬ মিটার সামনের দিকে এগিয়ে যায়৷ তার আগে অবশ্য কিউরিওসিটি ৯০ ডিগ্রি এঙ্গেলে ঘোরে এবং সামনের দিকে এগোনোর আগে কিছুটা পেছনের দিকে যায়৷ এক বিবৃতিতে নাসা জানিয়েছে, ‘‘অবতরণস্থল থেকে ২০ ফুট দূরে পৌঁছেছে যানটি৷''
![]() |
অবতরণস্থলের পাশে কিউরিওসিটির চাকার দাগ দেখা গেছে |
ইতিমধ্যে
কিউরিওসিটি তার যাত্রাপথের ছবি পাঠিয়েছে৷ এতে মঙ্গলের বুকে যানটির চাকার
দাগ ফুটে উঠেছে৷ লাল গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব সন্ধানের আগে আরো কয়েকটি
টেস্ট ড্রাইভে অংশ নেবে কিউরিওসিটি৷ মার্স সায়েন্স ল্যাবরেটরি প্রকল্পের
ম্যানেজার পিটি থিসিঞ্জার এই বিষয়ে বলেন, ‘‘আমারা আমাদের দু'বছরের মিশনের
মাত্র ১৬ দিন অতিক্রম করেছি৷ আমরা এখনো নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করিনি৷ এই
মঙ্গল মিশনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে সেখানকার বিভিন্ন উপাদানের নমুনা সংগ্রহ৷''এদিকে,
মঙ্গলের যে স্থানে কিউরিওসিটি অবতরণ করেছিল সেই স্থানের নাম পরিবর্তনের
সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে নাসা৷ কিউরিওসিটি টিম এই স্থানের নাম দিয়েছে
‘ব্র্যাডবেরি ল্যান্ডিং'৷ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখক ব্র্যাডবেরি গত জুন
মাসে মারা যান৷ বুধবার ছিল তাঁর ৯২তম জন্মবার্ষিকী৷কিউরিওসিটি মঙ্গলে কোনো ভিনগ্রহের জীব কিংবা জীবন্ত কোনো কিছুর সন্ধান পাবে,
এমন আশা করছেন না বিজ্ঞানীরা৷ তবে মঙ্গলের মাটি এবং পাথরের নমুনা পরীক্ষা
করে সেখানে আদৌ কখনো প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কিনা বা সেখানে প্রাণের
উপস্থিতি সম্ভব কিনা - তা বোঝার চেষ্টা করবেন বিজ্ঞানীরা৷ এই প্রকল্পের
মাধ্যমে মঙ্গলের পরিবেশ সম্পর্কেও একটি ধারণা গ্রহণের চেষ্টা করা হবে৷ এই
মিশন থেকে প্রাপ্ত তথ্য ব্যবহার করে ভবিষ্যতে মঙ্গলে মানুষ পাঠানোর
প্রস্তুতি শুরু করবে নাসা৷ ২০৩০ সাল নাগদ মঙ্গলে মানুষ পাঠাতে পারে নাসা৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন